নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র পার্থিব জগতের ক্ষুদ্র দূরত্ব এবং মহাকাশের দুস্তর নাক্ষত্রিক দূরত্বের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।সূত্রটি অভিজ্ঞতালব্ধ (empirical) ফল। এর সরাসরি কোন প্রমাণ না থাকলেও এর উপর নির্ভর করে জ্যোতিষ্কমণ্ডলের ক্ষেত্রে যত সব গণনা কার্য সম্পাদন করা হয়েছে, সেগুলো অভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। এই সূত্রের সাহায্যে সূর্যের চতুর্দিকে গ্রহপুঞ্জের গতিবিধির সঠিক ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া সূত্রটির মাধ্যম নিরপেক্ষ এবং বস্তুকণা দু'টির প্রকৃতি, উপাদান কিংবা তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল নয়। তাই নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রকে সার্বজনীন আখ্যায়িত করা হয়েে বিস্ত সূর্যের নিকটবর্তী অঞ্চলে যেখানে সূর্যের আকর্ষণ প্রবল সেখানে সূত্রটির সামান্য বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়। যেমন-বুধগ্রহের (Mercury) অনুসুর (Perihction) প্রতি একশ বছরে সামান্য ঘূর্ণন গভির সৃষ্টি করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র হতে এই ঘূর্ণন গতির কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আবার অতিক্ষুদ্র দূরত্ব যেমন- 10 আন্তঃআণবিক দূরত্বের ক্ষেত্রে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র প্রয়োগ করা যায় না। আপেক্ষিক তত্ত্বানুসাতে বস্তুর গতিবেগের উপর ভর নির্ভর করে এবং দূরত্বের পরিমাণ পর্যবেক্ষকের স্থিতির উপর নির্ভর করে। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রে আপেক্ষিক তত্ত্ব বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এ সকল কারণে সূত্রটিকে সার্বজনীন বলা যায় না
0 Comments