রাশি (Quantity)
যা কিছু পরিমাপযোগ্য, তাকে রাশি বলে। যেমন- ভর, সময়, বেগ, বল, তুরণ ইত্যাদি। আচরণের দিক থেকে রাশিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: চলক ও ধ্রুবক।
চলক (Variable) : যেসব রাশি স্থান ও কালের সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল, তাদের চলরাশি বা চলক বলে। চলককে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১. স্বাধীন চলক ও ২, নির্ভরশীল চলক।
কোন চলরাশি অবশ্যই এক বা একাধিক চলকের সাথে কোন না কোন সম্পর্ক বজায় রেখে পরিবর্তনশীল হবে। পরিবর্তনের প্রকৃতি এমন হবে যে, অন্তত একটি চলকের কোন স্বাধীন সত্তা থাকবে না, একে নির্ভরশীল চলক বলে এবং
বাকি চলকগুলো স্বাধীনভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এদেরকে স্বাধীন চলক বলে। যেমনঃ
y = f(r,t)
সমীকরণে, y নির্ভরশীল চলক এবং r ও t কে স্বাধীন চলক বলা হবে।
ধ্রুবক (Constant) যে রাশি স্থান ও কালের সাপেক্ষে অপরিবর্তিত থাকে, তাকে ধ্রুবক বলে। যেমন- বস্তুর ভর, সমত্বরণ, সমবেগ ইত্যাদি। রাশিগুলোর বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে এদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. স্কেলার বা অদিক রাশি ও
২. ভেক্টর বা দিক রাশি।
১. স্কেলার রাশি (Scalar quantity) যেসব রাশির শুধু মান আছে কিন্তু দিক নেই, তাদের স্কেলার বা অদিক রাশি বলে। যেমন— ভর, সময়, কাজ, শক্তি, চাপ ইত্যাদি।
২. ভেক্টর রাশি (Vector quantity): যেসব রাশি প্রকাশের জন্য মান ও দিক উভয়েরই প্রয়োজন হয়, তাদেরকে ভেক্টর রাশি বলে বা দিক রাশি বা সদিক রাশি বলে। যেমন- বেগ, তুরণ, সরণ, বল ইত্যাদি।
ভেক্টর বুঝার জন্য নিম্নের দৃষ্টান্ত বিবেচনায় নেয়া যাক। ধরা যাক, কোন ব্যক্তি A অবস্থান হতে B অবস্থানে যেতে চায়। তাহলে A অবস্থানকে তার যাত্রা বিন্দু বা প্রসঙ্গ কাঠামোর মূলবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এবং জানতে হবে A হতে B বিন্দুর দূরত্ব কত এবং A হতে B বিন্দুর অবস্থান কোন দিকে । সুতরাং A এর সাপেক্ষে B বিন্দুর অবস্থান একটি ভেক্টর। এরূপ ভেক্টরকে অবস্থান ভেক্টর বলে।
0 Comments